যেভাবে আটক হলো মা-ছেলে হত্যার আসামি 

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৩, ০৯:২২

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী ও ছেলেকে হত্যার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। একটি কালো টুপির সূত্র ধরেই অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খা রক্ষাকারী বাহিনীটি।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) গভীর রাতে পৌরসভার পাঁচড়া ব্যাপারী বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতরা হলেন, নিপা আক্তার (২৭) ও তার আট বছর বয়সী ছেলে আলী আহসান মুজাহিদ। নিপার স্বামী আনোয়ার হোসেন দুবাই প্রবাসী।

এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের ভাসুরের দুই ছেলে মঈনুল হাসান শুভ (২২) ও আবদুল্লাহ আল শাহেদকে (১৮) আটক করেছে।

নিপার বাবা জালাল আহমেদ বলেন, আনোয়ারের সঙ্গে তার ভাই মীর হোসেনের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। পূর্ববিরোধের জেরে মীর হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ আল শাহেদ এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টায় নিপা তার ছেলে মুজাহিদকে নিয়ে মামাশ্বশুর আজিজুল ইসলামের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এই সুযোগে হত্যাকারী ঘরে ঢুকে নির্মাণাধীন টয়লেটে লুকিয়ে ছিল। রাতে ঘরে ফিরে নিপা ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে আনুমানিক আড়াইটার দিকে কাঠের লাকড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাদের গুরুতর জখম করা হয়। এ সময় তাদের চিৎকার শুনে লোকজন এসে ওই মা-ছেলেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে নিপাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশু মুজাহিদকে ঢাকা নেওয়ার পথে সেও মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অপরাধী শাহেদ পালিয়ে গেলেও পরে পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। মূলত ঘটনাস্থলে একটি টুপি পাওয়া যায়। ওই টুপির সূত্র ধরেই অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়। 

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধী তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। কোথায় কীভাবে হত্যা করেছে তাও বলেছে। তার দেওয়া তথ্যমতে— বড় একটি কাঠের টুকরা দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় প্রথমে মা-ছেলের মুখ ও মাথায় আঘাত করে সে। এতে ঘটনাস্থলেই নিপা মারা যান। পরে তার ছেলেও মারা গেছে। এ ঘটনায় পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

এবিএন/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ